সাতক্ষীরায় বাটকেখালী রোডে আজ এক নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহের বিশেষ আইন (২০১০) এর অধীনে অনুমোদিত, তবে বর্তমানে স্থগিত থাকা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবি জানানো হয়।
স্বদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) এর যৌথ আয়োজনে এই সমাবেশে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।
২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশেষ আইনের অধীনে অনুমোদিত এই প্রকল্পগুলো জনস্বার্থবিরোধী এবং দেশের পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী হুমকি। এলএনজি আমদানি, টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়, তা দেশের অর্থনীতির ওপর অনাবশ্যক চাপ সৃষ্টি করছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং কৃষিজমি হ্রাস পাবে।জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে কার্বন নির্গমন হচ্ছে যা আমাদের মত উপকূলীয় এলাকার জন্য হুমকিওস্বরূপ। এছাড়াও, এর উচ্চ ব্যয়ের কারণে সাধারণ মানুষের ওপর বিদ্যুৎ বিল একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
স্বদেশের প্রধান নির্বাহী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, “এই প্রকল্পগুলো কোনো পরিবেশগত মূল্যায়ন ছাড়াই অনুমোদিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের পরিপন্থী। স্থগিত প্রকল্পগুলো স্থায়ীভাবে বাতিল না করলে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।” অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, নাগরিক নেতা আঃ সামাদ, মফিজুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী শ্যামল বিশ্বাস, যুব নেতৃত্ব, হৃদয় সরকার, বৈশাখী , তৌহিদ জামান আসিফ, জয় সরদার, দেবজ্যোতি ঘোষ প্রমুখ।
এই সমাবেশে বক্তারা এই বিশেষ আইনের অধীনে অনুমোদনকৃত বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো স্থগিত রাখার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]