সেলিম হোসেন ঃ মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা সদর—২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোগিতায় এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা সদর আসনে উন্নয়নে ঈর্ষণীয় অবদান রেখেছেন।
তিনি দেশ গড়ার মূলমন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরাকে একটি উন্নয়নমুখী জেলাতে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। ইতোপূর্বে আর কোন সংসদ সদস্য সাতক্ষীরার উন্নয়ন ও সাফল্যে এত অবদান কেউ রাখতে পারেননি। এমপি রবি একজন মানবতাবাদী এবং সমাজসেবক হিসেবে ও সুনাম কুড়িয়েছেন। এমনকি অবহেলিত একটি জেলাকে তিনি উন্নয়নের আলোয় আলোকিত করে দেখিয়েছেন।
জাতীয় সাংসদ হিসেবে সাতক্ষীরাবাসীকে তিনি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪৭৬ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পিসিএল ল্যাব ও ক্যান্সার পরীক্ষা ল্যাব, অক্সিজেন প্লান্ট ও রিজার্ভার, ইমার্জেন্সী আইসিইউ, সিসিইউ স্থাপন, ৭৯টি প্রাইমারী বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, ৫৪টি হাইস্কুলে নতুন ভবন (টেন্ডারের অপেক্ষায় আরো ৬টি), কলেজ ৮টি, মাদ্রাসা ভবন ১৭টি, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে আধুনিক ভবন বরাদ্ধ (৬ তলা) টেন্ডারের অপেক্ষা, নতুন রাস্তা (এলজিইডি) প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ (এলজিইডি) ১৯৫ মিটার, রাস্তা সংস্কার ১৩২ কিলোমিটার (এলজিইডি), ডিসি/হাটবাজার উন্নয়ন ৫টি (এলজিইডি), অবকাঠামো উন্নয়নে মোট ব্যয় করেছেন ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা, গভীর নলকূপ স্থাপন ৩০৫৬টি, অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন ১৮৪টি, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ৫৫০৩টি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করেছেন ৪৩১টি, কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ ৫৮,২৩২ বছর প্রতি ৩ বার ২ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন রকম ভাতা ( সমাজসেবা) ১২৩ কোটি টাকা, ক্যান্সার চিকিৎসায় ১০ কোটি টাকা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ভিজিডি চাউল বিতরণ ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে, সেলাই মেশিন বিতরণ ১০০০ টি, মৎস্য অবমুক্তকরণ এবং খাল খননসহ অন্যান্য কার্যক্রম ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে, বৃক্ষরোপণ ২ লক্ষ ১০ হাজার টি, বিনেরপোতা টিটিসি কর্তক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান ২০ হাজার ৫১৯ জনকে, বেকার যুবকদের মাঝে যুব উন্নয়ন লোন প্রদান ১ হাজার ৪৩৬ জনকে ৫ কোটি ৩২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি ও ঘর বিতরণ (জমি আছে ঘর নেই ৫৭৮টি, এবং ভূমিহীন ৫৬৪ টি), ঢেউটিন বিতরণ ২ হাজার ৫০০ বান্ডিলের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ১৪টি ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও সোলার (মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, মাদ্রাসা, স্কুল, মাটির রাস্তা) ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে, কালভার্ট—৬০টি, এইচবিবি—৩৫ কিলোমিটার, সাইক্লোন শেল্টার ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ৬টি, কম্পিউটার ১০টি, শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব ৩১টি এবং ২৫ টি প্রস্তাবিত, সাতক্ষীরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন, কেএফডব্লিউ ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্ধ (টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান), লিংক রোড (বিনেরপোতা থেকে ধুলিহর) প্রস্তাবিতসহ সাতক্ষীরায় ইকোনমিক জোন, ট্রেন লাইন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নীতিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থ, অসহায় ও অস্বচ্ছল আওয়ামী নেতাকর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজহিতৈষী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য প্রদান করে মানবতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি বলেন, আমার সংসদীয় এলাকায় প্রধান মন্ত্রীর সহযোগিতায় রাস্তা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
আগামীতে যদি আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে এবং আমি এমপি হতে পারি তাহলে অবশিষ্ট কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারবো ইন—শাল্লাহ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]