বিনেরপোতায় বুশরা গ্রুপের পরিচালকের বিরুদ্ধে তোফাজ্জেলের মৎস্য ঘেরের ভেঁড়ীবাঁধের মাটি ভেকু মেশিন দ্বারা কাটার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১০ মে) সকাল আনু: ৭ টায় লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা বুশরা ম্যাটস্ এর পশ্চিম পাশের্^র মৎস্যঘেরে। ওই স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কা করছে মৎস্যঘের মালিকরা।
এদিকে মৎস্যঘেরগুলো চলমান থাকাবস্থায় বৎসরের মধ্যবর্তী সময়ে বিনা নোটিশে বা মালিকদের অবগত না করিয়া মৎস্য ঘেরের ভেঁড়ীবাঁধ’র মাটি ভেকু মেশিন দ্বারা জোরপূর্বক কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত করায় প্রতিকার পেতে ঘেরমালিকরা সাতক্ষীরা থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ২১জন ঘের মালিক স্বাক্ষরিত অভিযোগের কপি সাতক্ষীরা থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানের কাছে জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা মৌজার বিনেরপোতা বুশরা ম্যাটস্ এর পশ্চিম পাশ্বের আনু: ছোট বড় প্রায় ২০ থেকে ৩০টি মৎস্যঘের রয়েছে। বিগত ২০০৫ ও ২০০৬ সাল থেকে ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত, খরিদকৃত এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট হইতে লীজ গ্রহণ করে ঘের মালিকরা মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করছে।
পরবর্তীতে কতক সম্পত্তি ‘বুশরা গ্রুপ’ খরিদ করিলে তাদের পূর্ববর্তী মালিকগনের নিকট থেকে ডীডমূলে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্যঘের পরিচালনা করাকালে প্রতি বৎসর স্ব-স্ব সম্পত্তির নির্ধারিত বিঘা প্রতি হারীর টাকা ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে যথাযথভাবে প্রদান করেন। এহেন অবস্থায় প্রতি বছরের ন্যায় জানুয়ারী মাসে নতুনভাবে মৎস্যঘের প্রস্তুত করে ঐ ঘেওে লাখো লাখো টাকা মাছ ছাড়িয়া প্রতিপালন করায় বর্তমান বছরের মধ্যবর্তী সময়ে প্রতিটি মৎস্য ঘেরে লাকো লাখো টাকার মাছ সংরক্ষণ করাকালে বুশরা গ্রুপের পরিচালক মামুনুর রশিদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ তাদের অনুগত স্থানীয় দালাল তালতলা গ্রামের নিজাম উদ্দীন এর ছেলে হাসানুজ্জামান ও মাগুরা গ্রামের মৃত. আব্দুল ওহাবের ছেলে কামরুজ্জামান গত বুধবার (১০ মে) সকাল আনু: ৭ টায় হঠাৎ ঘেরমালিক মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও মো. ফজলুর রহমানদ্বয়ের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রনাধীন মৎস্যঘের ২টির ভেঁড়ীবাঁধের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক কেটে লাখো লাখো টাকার মৎস্য মাটি চাঁপা দিয়া ও অন্যান্য গাছঠ-গাছালী ও তরিতরকারী বিনষ্ট করে।
এতে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও অবনতি সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হওয়ায় জরুরী ভিক্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে উপরোক্ত ব্যক্তিগণের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি তাদের নিকট থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে বুশরা গ্রুপের পরিচালক মামুনুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানতে রাত ৭ টা ৫৬ মিনিটে সাতক্ষীরা থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানের সেল (০১৩২০১৪২১৭৯) নম্বরে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ হয়নি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]