শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলে গরু ব্যবসায়ী কসাই মিজানুর রহমান হত্যার আট দিন পার হলেও হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের প্রশ্ন—নিরাপত্তা বেষ্টিত বাড়ির ভেতরে মাঝরাতে কীভাবে এ নৃশংস ঘটনা ঘটল?
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার রাতে বাইরে থেকে কেউ বাড়িতে প্রবেশ করেনি। তারপরও রাতের গভীরে মিজানুর রহমানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ক্যামেরার আওতার বাইরে হওয়ায় বাড়ছে জল্পনা–কল্পনা। অনেকেই ধারণা করছেন, হত্যার আগে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিজানুর রহমানের বাড়িতে ওই রাতে বাইরের কারও প্রবেশের প্রমাণ মেলেনি। তারপরও তাকে খুন করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক।
হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও মিজানের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বলছেন, ঘটনার পেছনে আর্থিক লেনদেনের বিষয় থাকতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার দিনই একজন ব্যক্তি এসে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে মিজান ওই দেনার কথা স্বীকার করে শনিবার টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন। ফিরোজা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে কেন খুন করা হলো জানি না। তবে আমি এ হত্যার বিচার চাই।
মিজানের কলেজপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের সংসারে কোনো ঝামেলা ছিল না। বাবার কারও সঙ্গে শত্রুতাও ছিল না। আমরা বাবার হত্যার ন্যায়বিচার চাই।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক মিলন হোসেন ও মানিক মিয়া মিজানের ছেলে মুরসালিনের সঙ্গে কথা বলেন। মুরসালিন স্বীকার করেন, ঘটনার রাতে রাত ১২টা পর্যন্ত তিনি বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইনে গেম খেলছিলেন। পুলিশ তার বন্ধুদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রাশেদ আলি বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট আসলেই তদন্ত আরও এগিয়ে নেওয়া হবে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।
স্থানীয়ভাবে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]