বেনাপোলে ট্রাভেল পারমিটে ভারতে পাচার হওয়া ১০ নারী-পুরুষ দেশে ফিরলো
ভাল কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশি নারী-পুর“ষকে উদ্ধারের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৮ জনকে রাইটস যশোর ও ২ জনকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে দুটি এনজিও সংস্থা পৃথক ভাবে গ্রহন করেছে।
পাচার হওয়া নারী-পুর“ষেরা হলেন, রাসেল ফকির, আয়েশা বেগম, রোকসনা বেগম, মাহমুদা আক্তার, নয়ন হাওলাদার, সাজু চন্দ্র নাথ, খোকন, সাগর হাওলাদার, গোলাপ মিয়া ও শাকিল । বিভিন্ন মেয়াদের কারাভোগ শেষে এরা দেশে ফিরছে। এদের বাড়ি যশোর, নড়াইল, খাগড়াছড়ি ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, পাচার হওয়া সবাই দরীদ্র পরিবারের। এদেরকে ভালো কাজের কথা বলে ভারতে পাচার করে দালাল চক্র। পরে সেখানে জোর পূর্বক বিভিন্ন ঝুকি মুলক কাজে তাদের ব্যবহার করতে থাকে। এক পর্যায়ে এদের কেউ পালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা দেয় আবার কাউকে পুলিশ পাচারকারীদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এদের আশ্রয় হয় ভারতের বেঙ্গলোর সেন্টাল জেলে। সেখানে সাজার মেয়াদ শেষে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, পাচারের শিকার যারা স্থলপথে ফেরত আসেন। তাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে পোর্টথানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে সেখান থেকে আইনী সহয়তা দিতে এনজিও সংস্থ্যা গ্রহন করেছে।
এনজিও সংস্থ্যা যশোর রাইটসের তথ্য ও অনুসন্ধ্যান কর্মকর্তা তৌফিকজ্জামান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারী নিয়ম মানতে ফেরত আসার পর এসব নারী-পুর“ষদেরকে ১৪ দিনের জন্য শেল্টার হোমে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এসময় কেউ যদি পাচারকারীদের বির“দ্ধে মামলা করতে চাই আইনী সহয়তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)