নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে বেনাপোল কাস্টমস স্কানিং থেকে ভারত থেকে আসা মোস্তফা কামাল নামে (পাসপোর্ট নং এ ০০২৬২৮৫৩) এক বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীর ব্যাগ থেকে এক লাখ টাকা চুরি করেছে রয়েল (৩২) নামে এক যুবক। ভিডিও ফুটেজ দেখে রয়েলকে টাকা চুরি করতে দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে টাকা উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় বেনাপোল চেকপোষ্টের পাসপোর্টযাত্রীদের ল্যাগেজ বহনকারী শ্রমিকরা রয়েলকে ধরে চেকপোষ্ট কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে।
শনিবার বেলা ৩ টার সময় এ ঘটনা ঘটে আন্তঃগমন স্কানিং মেশিনে তল্লাশির পর কাস্টমস কর্মকর্তাদের সামনে। পাসপোর্টযাত্রী কুমিল্লার তিতাস এলাকার আব্দুর রহমান এর ছেলে। এদিকে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েল বেনাপোল একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে বলে জানায়। তার বাবার নাম মফিজ উদ্দিন।
চেকপোস্টের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের সভাপতি নুরনবী শেখ বলেন, ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস স্কানিংয়ে ব্যাগ দেয় ওই যাত্রী। এরপর ওই ব্যাগে টাকা আছে সন্দেহ হলে কাস্টমস এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা রবিউল মোর্শেদ ব্যাগটি স্কানিংয়ে পুনরায় দিতে বলেন। এসময় পেছন থেকে ব্যাগের মধ্যে থাকা এক লাখ টাকা বহিরাগত দালাল রয়েল চুরি করে নিজ পকেটে রাখে। এরপর ব্যাগটি পুনরায় স্কানিংয়ে দিলে তাতে টাকা না পাওয়ায় ওই যাত্রীর সন্দেহ হয় তার ব্যাগে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে। এরপর সেই যাত্রী টার্মিনালে এসে ব্যাগটি খুলে কোনো টাকা না পেয়ে কাস্টমসকে জানায়। পরে কাস্টমস সিসিটিভি ফুটেজে এক যুবককে টাকা নিতে দেখে। আর ওই ফুটেজের চোর রয়েলকে আমরা সনাক্ত করি। তারপর রয়েলকে বাড়ি থেকে আমরা ধরে এনে কাস্টমসে এনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
বেসরকারি এনজিও (কাস্টমসে কাজ করে) কর্মী সুমন হোসেন বলেন, টাকা চুরি হয়েছে এটা সত্য এবং যাকে শ্রমিকরা ধরে এনেছে তাকে ভিডিও ফুটেজে টাকা চুরি করতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল বলেন, সে ভারতে চিকিৎসা শেষে ফেরত আসার সময় তার সব টাকা খরচ না হওয়ায় সে নিরাপত্তার জন্য নিজ ব্যাগে রাখে। আমি আমার টাকা উদ্ধারের বিষয়টি কাস্টমস অফিসারকে বললে তারা উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো দায়ভার নেবে না বলে এড়িয়ে যান বলে জানান।
স্থানীয় একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রয়েল বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর ডিউটি ফ্রি দোকান থেকে মদ বের করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে।
চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা এসে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]