আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের প্রস্তাব বিবেচনা করার সুযোগ নেই বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয় জাতীয়করণ নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহ করছে, যা অনভিপ্রেত।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিন ধাপে জাতীয়করণ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এক লাখ চার হাজার শিক্ষককে আত্মীকরণ করা হয়।
“সার্বজনীন ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোনো এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রয়োজন হলে সরকার নিজ উদ্যোগে স্থাপনসহ শিক্ষক নিয়োগ করবে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আর কোনো প্রস্তাব এ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে মর্মে প্রচারণা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহ করছে, যা অনভিপ্রেত।
“এমতাবস্থায় এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় প্ররোচিত হওয়ার জন্য এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কোনো আবেদন, সুপারিশ বা প্রতিবেদন এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হল।”
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে বিজ্ঞপ্তিটি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]