সোহেল পারভেজ, কেশবপুর প্রতিনিধি: ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাঙচুরের বর্জ্য অপসারণ করল শিক্ষার্থীরা।
যশোরের কেশবপুরে গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বরে দীর্ঘদিন পর
সেই ধ্বংসস্তূপগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
যেটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেখানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া গেছে,
পরিচ্ছন্ন কারী শিক্ষার্থীদের হাতে গ্লাভস পরে, মুখে মাক্স দিয়ে ঝাড়ু নিয়ে উৎস উদ্দীপনা শহীত নিজ নিজ দায়িত্বে উপজেলা পরিষদের চত্বর পরিষ্কার করেছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা জিনিসপত্র কুড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থান বা পাত্রে রাখছে।
গত ৫ আগস্ট সারা বাংলাদেশে ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে আন্দোলনকারীরা বিজয় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে জনগণ। সারা দেশে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশের নেয় কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, পৌর ভবন, ভূমি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি, সাইনবোর্ড, ব্যানার, সিসি ক্যামেরা, পরিবহন, মোটরসাইকেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।একপর্যায়ে কেশবপুরে উপজেলা পরিষদে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। যেটি কেশবপুরের ইতিহাসে পাতায় সাক্ষী হয়ে থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেশবপুর উপজেলার সমন্বয়করা বলেন, বাংলাদেশটা আরেকবার স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এই দেশ আবার স্বাধীন করতে পেরেছি। এই সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদের সবার। দেশের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। সেই দায়িত্ব নিয়েই আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগ এই কাজে নেমেছি। পোড়া জিনিসপত্র পড়ে উপজেলা চত্বরে পড়ে থাকায় দেখতে বেমানান দেখাচ্ছে। উপজেলা চত্বর অপরিষ্কার থাকায় জনগণ ভোগান্তি হচ্ছে। তাই জনগণের কথা চিন্তা করে পরিষ্কার পরিছন্ন করেছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]