ভারতের ইছামতি নদীর উপচে পড়া পানিতে শার্শার বিস্তির্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি। ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের ও পুকুর।
শার্শার ঠেঙামারী, আওয়ালি, গোমর বিল, মাখলা ও সোনামুখো বিলসহ ছোট বড় ৫২টা বিল এখন পানির নিচে।
শার্শা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার ২০ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে ধান ও সব্জির চাষ হয়েছিলো। কিন্তু চলতি মৌসুমে ইছামতির পানিতে ডুবে গেছে ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল ইছামতির পানিতে প্লাবিত এলাকাগুলি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। এখনো পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
সরেজমিন চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শার্শার সীমান্তে ভারতের ইছামতি নদীর পানি রুদ্রপুর ও খলশী'র খাল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শার্শার বিস্তির্ন অঞ্চল ভাসিয়ে দিচ্ছে। সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। সমস্যা সমাধানে তৎকালিন সরকার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুরে পরপর দু'টি ও পুটখালী ইউনিয়নের খলশী খালে একটি স্লুইজ গেট নির্মান করেন। কিন্তু নির্মান শৈলিতে ত্রুটি থাকায় তা কোনো কাজে আসেনি। যা এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে প্রতিবছর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু বলেছেন, ভারতীয় পানির সমস্যাটা দির্ঘদিনের। তবে সরকার এবছর একটা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। গোমর বিলের খাল দিয়ে পানিটা কলারোয়ার সোনাই নদীতে ফেলানো হবে। এতে জলাবদ্ধতার নিরসন হবে বলে তিনি জানান।
তবে স্থানীয় চাষীদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম দাবী করেছেন সরকারের পরিকল্পনার পাশাপাশি রুদ্রপুর ও খলশী খালমুখে দুটি সয়ংক্রীয় মোটর গেট অবশ্যই নির্মান করতে হবে। না হলে চাষীদের সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে।
পানি সমস্যার কোনো সমাধান আসবে না বলেও জানান তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]