আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে গণহত্যা হয়েছে’—এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা চাই, ভারত সরকার অবিলম্বে তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের সরকারের হাতে ফেরত দেবে। তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
‘শেখ হাসিনার সহযোগিতায় যারা ছিলেন তাদেরকেও বিচার আওতায় আনা হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা’ বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে, কবে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে সবার আগ্রহ থাকে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যে সত্য ঘটনাগুলো হয়েছে, এগুলো প্রকাশ পেয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যখন এই ঘটনাগুলো বলি, তখন কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে। তারই নির্দেশে এখানে গণহত্যা হয়েছে, এটা আজকে প্রমাণিত হয়ে গেছে। এদেশের মানুষকে তিনি অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যা সবকিছু তার নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে হাসিনা ফ্যাসিস্ট।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে নাকি হবে না। কোন পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে নাকি নেবে না।’
আয়নাঘর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু পার্টি নয়, দেশের বিভিন্ন মানুষকে গুম করেছে। তুলে এনে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে।’
আনুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এটার পুরো বিরোধী। মানুষ এটাতে অভ্যস্ত নয়।’
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আমরা আগে বলেছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। জাতীয় নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার দুটো কারণে—এক. বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। দুই. গভার্নেন্স (সুশাসন) চালু করা। অর্থনীতি ঠিক হয়ে যাবে। ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া হচ্ছে না, সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। ইলেকটেড গভর্নমেন্ট না হলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন।’
নির্বাচনের ‘ডেড লাইন’ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন।’
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]