চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেনারা অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলায় ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তত ৬০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে। তারা কিছু সময়ের জন্য ওই জেলার কাপাপু এলাকায় শিবিরও স্থাপন করেছিল। খবর অরুনাচল টোয়েন্টিফোরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে পাওয়া বনফায়ার, স্প্রে পেইন্টেড পাথর এবং চীনা খাদ্য সামগ্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে সহজেই অনুমেয়, সম্প্রতি এ অঞ্চলে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে ১৮ সালের অক্টোবরে প্রায় ১০ চীনা সেনা দিবাং উপত্যকার মথু ও এমরা নদীর তীরে ভারতের প্রায় ১৪ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল। সেখানে তারা তাঁবু স্থাপন করে কয়েক ঘন্টা অবস্থানের পর আবার ফিরে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইস্টার অরুণাচল প্রদেশ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এবং অরুণাচল প্রদেশের বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি তাপির গাও অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলায় চীনের অনুপ্রবেশের একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে দেখা যায়, চীনের সেনারা একটি নালার উপর কাঠের সেতু তৈরি করেছিল।
তারও আগে ২০২১ সালে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্যাটেলাইটে ধারণ করা চিত্র বিশ্লেষণ করে জানায়, অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে কমপক্ষে ৬০টি ভবনের দ্বিতীয় ক্লাস্টারের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে চীনা সামরিক বাহিনী।
২০২০ সালে চীনা সৈন্যরা অরুণাচলের দিবাং উপত্যকা জেলায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। ওই সময় দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে অরুণাচলের ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভেতরে ডোইমরু নালার ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করে চীনা সামরিক বাহিনী।
ভারতের বহুল আলোচিত অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া বিশাল অংশের মালিকানা দাবি করে প্রতিবেশি চীন। চীনের সঙ্গে ভারতের মোট ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে কেবল বিরোধপূর্ণ অরুণাচলের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে এক হাজার ১২৬ কিলোমিটার।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]