ভারতের মুম্বাইয়ের একটি পুলিশ স্টেশনের ভেতরে তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।
এতে দেখা যায়, এক বিজেপি বিধায়ক শিবসেনার (শিন্ডে গোষ্ঠী) এক নেতাকে গুলি চালাচ্ছেন, এরপর বন্দুকের বাট দিয়ে তাকে বেধরক আঘাত করছেন তিনি। খবর এনডিটিভির
মুম্বাইয়ের থানে জেলার কল্যাণের (পূর্ব) বিজেপি বিধায়ক গণপতি গায়কোয়াড়ের সঙ্গে শিবসেনার (শিন্ডে গোষ্ঠী) কল্যাণ প্রধান মহেশ গায়কোয়াড়ের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গণপতি গায়কোয়াড়ের ছেলে শুক্রবার পার্শ্ববর্তী উলহাসনগরের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন, তখন মহেশ গায়কোয়াড় তার লোকদের নিয়ে সেখানে হাজির হন। একটু পরে থানায় পৌঁছান বিজেপি বিধায়ক গণপতি গায়কোয়াড়।
দুই মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি বিধায়ক গণপতি গায়কোয়াড় হিল লাইন পুলিশ স্টেশনের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টরের চেম্বারে মহেশ গায়কোয়াড়সহ চারজনের সঙ্গে বসে আছেন এবং সবকিছু শান্ত বলে মনে হচ্ছে।
একপর্যায়ে হঠাৎ মহেশ গায়কোয়াড়ের দিকে বন্দুক তাক করেন গণপতি। এভাবেই শুরু হয় হট্টগোল। গুলি করেন গণপতি। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই রুম থেকে রেবিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সবাই।
গুলির আওয়াজ পেয়ে রুমে ঢোকে পুলিশ। এরপর মহেশকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করতে থাকেন গণপতি। পুলিশ রুমে প্রবেশের পরও তাকে থামতে দেখা যায়নি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই রুমের অপর প্রান্তে আরেক ব্যক্তিকে একসঙ্গে তিনজন মিলে মারছেন। এর মধ্যে একজন প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাকে আঘাত করেন।
বিজেপি বিধায়ক ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মহেশ গায়কোয়াড় ও তার এক সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুলি চালানোর পর একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় গণপতি গায়কোয়াড় দাবি করেন, তিনি আত্মরক্ষার জন্য এ কাজ করেছিলেন। কারণ তার ছেলেকে পুলিশের সামনে শিবসেনা নেতার সহযোগীরা মারধর করছিল।
তবে সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, গণপতি গায়কোয়াড়ের এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]