ভারতে বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টে গেল কেরালা রাজ্য সরকার। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সিএএ কার্যকর করা হবে না। এটাই তাদের সরকারের অবস্থান।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, এই প্রথম সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো ভারতের কোনো রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর জানিয়েছে, সংবিধানের ১৩১ ধারার অধীনে আগেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য।
খবরে বলা হয়েছে, কেরালার আইনমন্ত্রী পি রাজীব বলেছেন, এটি (সিএএ) সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এবং আমরা এই আবেদনকে সংবিধানবিরোধী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্রার্থনা করি। এটি আগে প্রার্থনা ছিল। এখন আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টে আমাদের সিনিয়র কাউন্সেলের সাথে যোগাযোগ করতে এবং সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্পণ করেছি।
অপরদিকে একই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
আবেদনে ওয়েইসি জানিয়েছেন, সিএএ-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও এই আইনে আসলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ওয়েইসি সিএএ’র সঙ্গে জুড়েছেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকেও (এনআরসি)।
গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তার পরই সিএএ কার্যকরের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ সেই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সে সময়ই কেরলা সরকার ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসিদের আবেদন এক সঙ্গে শোনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]