ভারতের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দফতর বণ্টন হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) এ দায়িত্ব বণ্টন হয়।
এবারো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও থাকছে রাজনাথ সিংয়ের হাতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এস জয়শঙ্করের ওপরই আবারও আস্থা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুরুত্বপূর্ণ এই তিন মন্ত্রণালয়ের মতো দেশটির অর্থমন্ত্রীর পদেও পরিবর্তন আসেনি। নতুন সরকারেও অর্থ মন্ত্রণালয় সামলাবেন নির্মলা সীতারমণ।
এছাড়া যিনি যে দায়িত্ব পেলেন:
হরদীপ সিং পুরী থাকছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়েই। তার ডেপুটি হচ্ছেন সুরেশ প্রভু।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি মন্ত্রী হচ্ছেন জিতনরাম মাঝি। তিনি বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
প্রহ্লাদ জোশীকে সরিয়ে সংসদবিষয়ক মন্ত্রী করা হচ্ছে কিরেণ রিজিজুকে।
নতুন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী হচ্ছেন অন্নপূর্ণা দেবী। সেই দায়িত্বে ছিলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি এবার হেরে গিয়েছেন। ঠাঁই পাননি ক্যাবিনেটে।
টেলিকম মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেইসাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের দফতরের দায়িত্বও পাচ্ছেন তিনি। উল্লেখ্য, ইউপিএ সরকারের আমলে টেলিকম মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন পীযূষ গোয়েলই। তার হাতেই ছিল সেই মন্ত্রণালয়। তৃতীয় দফায় তার উপরেই আস্থা রাখলেন মোদি।
শান্তনু ঠাকুর যে দায়িত্বে ছিলেন, তাতেই থাকছেন। জাহাজ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী করা হচ্ছেন টিডিপি সাংসদ রামমোহন নাইডু। তিনি ক্যাবিনেটের কনিষ্ঠতম সদস্য। আগে সেই মন্ত্রণালয় ছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাতে।
অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপরই আস্থা রাখলেন নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, তার হাতে রেল মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় থাকছে। অর্থাৎ রেলমন্ত্রী থাকছেন বৈষ্ণব। সেইসাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দেয়া হচ্ছে। তার হাত থেকে নিয়ে নেয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সম্ভবত টিডিপির হাতে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থাকছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। অর্থাৎ ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী যে হচ্ছেন না তিনি, সেটা একেবারে নিশ্চিত হয়ে গেল পুরোপুরি। যদিও রোববারই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
শিবরাজ সিং চৌহানকে জোড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হলো। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হলো মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেপি নড্ডা। অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় ঢুকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডা পেয়ে গেলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেননি। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। যিনি প্রথম মোদি সরকারের আমলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। অর্থাৎ ‘ঘর ওয়াপসি’ হলো।
দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে ক্রীড়ামন্ত্রী করা হলো। সূত্রের খবর, তাকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তার হাতে জোড়া দায়িত্ব থাকছে।
কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। অর্থাৎ তিনি জোড়া মন্ত্রণালয় পেতে চলেছেন। তার ডেপুটি হচ্ছেন তোখন সাহু।
শক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন মনোহর লাল খট্টর। সেই মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন শ্রীপদ নায়েক। অর্থাৎ হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর ডেপুটি হচ্ছেন তিনি।
সূত্রের খবর, সোমবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে আপনারা যে কাজ করছিলেন, সেটাই চালিয়ে যাবেন। অর্থাৎ যে মন্ত্রীরা যে মন্ত্রণালয়ে ছিলেন, তাতেই মোটামুটি থাকবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অজয় টামটা এবং হর্ষ মলহোত্রাকে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন এবং হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হচ্ছে। অর্থাৎ তারা নীতিন গড়কড়ির অধীনে কাজ করবেন বলে আপাতত খবর মিলছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]