প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে নাকাল গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশুগলো। ভাইরাসটির ধ্বংসযজ্ঞ চলছে বিশ্বের ২১৩টি দেশে। এখনও পর্যন্ত এর কার্যকর কোনও প্রতিষধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস।
তবে থেমে নেই বিজ্ঞানীরা। করোনার সঙ্গে যুদ্ধে কীভাবে দ্রুত জয়ী হওয়া যায় সেই চেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। কেউ তৈরি করছেন ওষুধ, কেউ নিয়ে আসছেন ভ্যাকসিন। এবার করোনা মোকাবিলায় ভারতে আসছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবেন এই বিজ্ঞানীরা। তারা একটি বিশেষ টেস্ট কিট তৈরি করবেন, যা নাকি মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই বলে দেবে মানবদেহে করোনার উপস্থিতি।
ইসরায়েলের দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এজন্য ভারতে আসছে একটি বিশেষ বিমান। আর তাতে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষকদের।
ভারতীয় বিজ্ঞানী কে বিজয় রাঘবন ও ডিআরডিও'র সঙ্গে কাজ করবে ইসরায়েল। ইসরায়েল দূতাবাসের দাবি, করোনাকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায় সেই প্রচেষ্টাই করবে দুই দেশ।
মহামারীর মধ্যে ইরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
বৃহস্পতিবারেই ছাড়পত্র পেয়েছে সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি প্রথম অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট। এদিন আইসিএমআর মেড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় তৈরি অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটকে অনুমোদন দেয়। মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়।
এবার থেকে ভারতের বাজারে এই টেস্ট কিট পাওয়া যাবে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার আরটি-পিসিআরে এই কিট ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিটটির নাম দেওয়া হয়েছে প্যাথোক্যাচ কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্টিং কিট। এটিই প্রথম কোনও ভারতীয় সংস্থার তৈরি করা কিট, যা আইসিএমআরের ছাড়পত্র পেল। পুনের সংস্থা মাই ল্যাব জানাচ্ছে, এই কিটটির দাম প্রায় ৪৫০ রুপি।
অর্ডার দিলেই কিটটি পাওয়া যাবে দ্রুত। এর উৎপাদন বাড়িয়ে দ্রুত সহজলভ্য করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে কিটটিকে। শুধু অ্যান্টিজেন কিট নয়, মাই ল্যাব সংস্থা জানাচ্ছে, করোনা চিহ্নিত করতে যেসব টেস্ট কিট প্রয়োজন সবই ভারতের মাটিতে তৈরি হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]