যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৭ টাকা দরের আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচটি চালানে মোট ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতের দিকে পঞ্চম চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। এরইমধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে সরকার আরও সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটি ডিমের আমদানি শুল্ক এক টাকা ৮৩ পয়সা। সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। এমতাবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওফুফের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।
বেনাপোল কাস্টম হাউজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির পাঁচ চালানে মুরগির ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০টি ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এর সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে এক টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত। তারা পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওফুক করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন।
ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত তিন টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, আমদানি করা ডিমের শুল্কায়নসহ প্রতিটির দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকার মতো। গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান। গত বছর ঢাকার বিডিএস কর্পোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]