কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে মাঠের বাইরে থাকলেও সবচেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে ভার (VAR)। এই প্রযুক্তি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ এটির কারণে যেমন অসংখ্য গোল বাতিল হয়েছে, তেমনই পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারিরা।
শুধু তাই নয় ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি) বা ভারের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ডও দেখিয়েছে রেফারি। আর অফসাইড তো এখন সুতোর ব্যবধানে চলে গেছে। এসব কারণে ভার এখন ফুটবলারদের কাছে আতঙ্কের নাম।
বল জালে জড়ানোর পরেও উল্লাস করতে পারছেন না ফুটবলাররা। তাকিয়ে থাকছেন রেফারির দিকে। দেখছেন রেফারি কানে লাগানো যন্ত্রে কারও সঙ্গে কথা বলছেন কি না। কথা বলতে দেখলেই আশঙ্কা শুরু হচ্ছে। আশঙ্কা গোল বাতিলের।
এক কথায় ভার আক্রান্ত বিশ্বকাপ। প্রথম পর্বের পরিসংখ্যান তাই সমর্থন করছে। গ্রুপ পর্বের ৪৮টি ম্যাচে ভারের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে ১৭টি গোল। তার মধ্যে ওপেন প্লে থেকে ৯টি গোল বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ, ফুটবলার গোল দেয়ার পরে ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল করেছেন রেফারি।
আর আটটি গোল বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র অফ সাইডের কারণে। আর সবটাই হয়েছে ভারের সাহায্যে। ভার প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা রেফারি মাঠের রেফারিকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনে গোল বাতিল করেছেন রেফারি।
ভারের সাহায্যে এবার আটটি পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারিরা। তার মধ্যে অবশ্য পাঁচটি পেনাল্টি মিস করেছেন ফুটবলাররা। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেসির পেনাল্টি নষ্ট তার মধ্যে একটি। ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু মেসির শট বাঁচিয়ে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক।
আবার ভারের সাহায্যে পেনাল্টি বাতিলও হয়েছে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু পরে ভারের সাহায্যে সেই পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি।
কারণ, ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারকে ফাউল করার আগে তাদেরই এক ফুটবলার অফসাইডে ছিলেন। একই কাণ্ড ঘটেছিলো ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও। পেনাল্টি বাতিল করে ফ্রি কিক দেন রেফারি
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]