দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় মিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, বড় মিল মালিকরা কথা রাখেননি। বাড়তি লাভের জন্য ঈদের ৫ থেকে ৭ দিন আগেই তেল মজুত করে রেখেছিলেন।
সোমবার (৯ মে) ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্যই মিলার থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ীরাও বাজারে সরবরাহ সংকটে কারসাজি করেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, তাই একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও এক হাজার লিটার তেল পাওয়া গেছে, এভাবেই কারচুপি হয়েছে।
এর আগে রোববার (৮ মে) চট্টগ্রামে কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য গোপন জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুত করায় একটি দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ সময় খাজা এন্টাপ্রাইজের মালিক বলেন, ‘সামান্য তেল’ পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। এর থেকে অনেক বেশি বোতলজাত সয়াবিন একদিনে বিক্রি করেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে নাটোরে এক ব্যবসায়ীর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে নির্ধারিত মূল্যে খোলাবাজারে বিক্রি করিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এছাড়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দাম সমন্বয় করেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম সুপার তেলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও তেলের দামের হালনাগাদ জানতে কোম্পানি প্রতিনিধি, ট্যারিফ কমিশন ও সিনিয়র সচিবদের সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]