ভোমরার শ্রমিকনেতা তরিকুলের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


সাতক্ষীরার ভোমরার শ্রমিকনেতা তরিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ কর্তৃক আওয়ামী ট্যাগ লাগানোর চেষ্টাসহ তার বিরদ্ধে নানার চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভোমরা গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সততা দক্ষতা এবং সুনামের সাথে ভোমরা ইউনিয়নের একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আমার মত নির্যাতিত আর কেউ হয়নি। জামায়াত-বিএনপি বলে তারা সবসময় আমাকে চাপে রাখত। বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। তবুও আমি তাদের কাছে মাথা নত করিনি। আমি সত্যের পথে থেকে আমার গতিতে এগিয়ে চলেছি। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করিনি। তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি ভোমরা ১১৫৯ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম। ভোটে দাড়াতে দিবে না বলে আওয়ামী দালালরা তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েছিল। পরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমি ওই তালিকায় নাম উঠাই এবং নির্বাচনে দাড়িয়ে বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এরপরও ৬ মাস যাবত আমাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে সাধারণ শ্রমিকরা আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। এইভাবে তিন বছর পর আবার নির্বাচন আসলে পূর্বের মত একই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়। বিগত দিনের দালাল এক হয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করে আমাদেরকে সরিয়ে পকেট কমিটি করায়। ওই কমিটিতে আমার নামটা রাখাছিল সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। কিন্তু সেই অবৈধ কমিটি আমি মেনে নেয়নি। আমার মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়েও দমাতে পারেনি। জামায়াত-বিএনপি বলে আমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। তবুও আমি তাদের কাছে মাথানত করিনি। তিনি আরো বলেন, ভোমরা ইউনিয়নের রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, মসজিদ মাদ্রাসায় আর্থিক সহযোগিতা, গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো থেকে শুরু করে এলাকায় ওয়াজ মাহফিল করতেও প্রকাশ্যে আমি কাজ করেছি। আওয়ামী ফ্যাস্টিটের হুমকি উপেক্ষা করেও মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কিছু কুলাঙ্গার বেনামে ভুয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। একটি সংগঠনের কার্যালয়ে সরকার প্রধানের ছবি থাকতেই পারে। সংগঠনের স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাক্ষাত করার প্রয়োজন হতেই পারে। কিন্তু ছবিতে প্রমানিত হয় না যে, সে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। এধরনের ছবি দেখলে বিএনপি-জামায়াতের শত শত নেতাকর্মী দোষী। অথচ আওয়ামীলীগ ফ্যাস্টিটের দোসরার ফয়দা লুটার জন্যই আমাকে আওয়ামী ট্যাগ লাগানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাখরা গ্রামের বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাবেক চেয়ারম্যান শামছুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ভোমরার মৃত হামিদ সরদারের ছেলে হাসান আলী লাল্টু, শ্রীরামপুরের আজাদ তাদের নিজেদের ফেসবুক আইডিতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করত। পরবর্তীতে ভূয়া আইডি খুলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর কিছুদিন আগে সাইফুলের পিতা শামছুর আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা ধার হিসেবে চেয়েছিল। আমি না দেওয়ার পর থেকেই তার ছেলেকে দিয়ে এধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি এসব চক্রান্তকরিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
তিনি অপপ্রচারকারি ফেসবুক আইডিধারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
