ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে মেসার্স মেরিন অ্যাসোসিয়েটস এর স্বত্বাধিকারী লাইসেন্স’র ৫১ ভাগের অংশিদার মিসেস জেবউন নেছা এবং তার ব্যবসায়ীক পার্টনার ৪৯ ভাগের অংশিদার শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন’র মধ্যে আগামী ১১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোধিকার দ্বন্দ নিয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাচন কমিশিনার আলহাজ্ব এইচ.এম আরাফাত ও সদস্য অলিউর রহমান উভয় পক্ষের কাগজ-পত্রাদি পর্যালোচনা করে মেসার্স মেরিন অ্যাসোসিয়েটস এর স্বত্বাধিকারী লাইসেন্স’র ৫১ অংশিদার মিসেস জেবউন নেছা’র বক্তব্য শোনেন।
এসময় মিসেস জেবউন নেছা এবং তার ভাই মো. জাহিদুর রহমান আলতু বলেন, শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন আমাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে। আমরা তাকে কোন ভোটের অধিকার দেননি। আমাদের কাছ থেকে শুধু ব্যবসা করার লক্ষ্যে লাইসেন্সটি ব্যবসায়ীক পার্টনার হিসাবে গ্রহণ করে। তাকে লাইসেন্সটি দেওয়া হয়েছে ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু সে এ যাবৎ কাল সে কোন ব্যবসা করে নাই এবং আজ অবধি আমাদের কোন টাকা প্রদান করে নাই। লাইসেন্সের মূল স্বত্বাধিকারী আমি
নিজে। তাই আমি সিএন্ডএফ এজেন্টস’র নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।
এজাজ আহমেদ স্বপন জাল-জালিয়াতি করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিজের আয়ত্বে রেখে সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনকে ভুল বুঝিয়ে সে নির্বাচন করার
পায়তারা করছে। “আমি আগেও ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলাম এবং এখনও আছি। গত ২০১৮ সাল থেকে আমি সিএন্ডএফ’র আমার লাইসেন্সে নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করে আসছি।
তিনি আরো জানান, বিগত ৪-০৯-২০২১ তারিখে
সাধারন সভায় আমি সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার হিসেবে মনোনীত হই।” তিনি নির্বাচন কমিশনারের কাছে তার আবেদনে আরো উল্লেখ করেছেন, “আমি মেসার্স মেরিন অ্যাসোসিয়েটস (লাইসেন্স-০২/এলসি-সিএ/ভোমরা/২০১৮/ (আর),
প্রোপাইটার মিসেস জেবউন নেছা ভোমরা কাষ্টমস এন্ড ফরওয়াডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নম্বর ১৮১, ভোটার নম্বর-১৬১। অত্র অ্যাসোসিয়েশনের নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ কারী সদস্য। আমি আগামী ১১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য ভোমরা কাষ্টমস এন্ড ফরওয়াডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে ইচ্ছুক।
আমার লাইসেন্সের অধীনে আমি একমাত্র ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। আমি আমার অংশীদারকে অ্যাসোসিয়েশনের কোন সদস্য পদ প্রদান করি নাই। আমার সদস্য পদসহ আগামী নির্বাচনে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারী অংশ গ্রহন করে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চাই।” তিনি উক্ত সাধারন নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য
বিধিমত ব্যবস্থা করার জন্য তার আবেদনে প্রধান নির্বাচনের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে এজাজ আহমেদ স্বপনের ভোটাধিকার বাতিল করার জন্য আমি
বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছি। এছাড়া লাইসেন্সটির বিষয়ে খুলনায় লাইসেন্স শাখায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১২/১/২০২২ তারিখে শোনানী রয়েছে। অতএব উক্ত লাইসেন্স নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এজাজ আহমেদ স্বপন’র জন্য বৈধ নয়। এটা আইনের পরিপন্থী। শোনানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজাজ আহমেদ স্বপন যাতে নির্বাচন না করতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]