ভোল পালটে হাসিনাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বললেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ সময় শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় ৬ বছর ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত।’
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে তুরিন আফরোজকে আদালতে হাজির করে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর দুপুর ২ টা ৩৪ মিনিটে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আসামিকে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক সুমন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। এ সময় তুরিন আফরোজের মনোনীত কোনো আইনজীবী ছিলো না। তাই বিচারক আসামিকেই তার পক্ষে কথা বলতে বলেন।
এ সময় তুরিন আফরোজ বলেন, মাননীয় স্যার আমি দুই-তিন মিনিট যতটুকু পারবো কথা বলতে চাই। হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ৪ আগস্টে৷ এ সময় আমার অপারেশন হয়। টিউমার অপারেশন। আমি সকল ডাক্তারি রিপোর্ট দিতে পারবো। আমি ৪ বছর ধরে মিডিয়ায় কিছু বলিনি বা লিখিনি। আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় ৬ বছর ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত। তবে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করব। আশা করছি আমি ন্যায়বিচার পাবো।
শুনানি শেষে বিচারক তাকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত সোমবার রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২ টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা মামলাটি দায়ের করেন।এজাহারনামীয় ৩০ নং আসামি তুরিন আফরোজ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
