তিন দিনের পূর্বাভাস এবং আগামী পাঁচ দিনে সার্বিক অবস্থার চিত্র জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করবে। বিপরীতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে সোমবার পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী আবার ভারী বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হবে না।
আগামী সোমবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে।
আগামী মঙ্গলবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পার্বত্য বান্দরবান-সৈয়দপুরে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে বাতাসের গতি হচ্ছে দক্ষিণ দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
এদিকে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমী বায়ুর অক্ষে মিলিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তরাংশে সক্রিয় এবং অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও বরিশাল ছাড়া ৪০টি স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায় ১৬১ মিলিমিটার। এছাড়া তেঁতুলিয়ায় ৪৭, যশোরে ৪০, রংপুরে ৩২, শ্রীমঙ্গলে ২৯, খুলনায় ২৮, চুয়াডাঙ্গায় ২৫, দিনাজপুর-কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২৩, রাজশাহীতে ২২, ফরিদপুর-মাইজদীকোর্ট-সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২০, ময়মনসিংহ-ঈশ্বরদীতে ১৭, নেত্রকোণা-হাতিয়ায় ১৫, মাদারীপুর-সিলেট-ভোলায় ১৩, সন্দ্বীপে ১২ এবং পটুয়াখালীতে ১০ মিলিমিটার। অপর ১৬টি স্টেশনে সামান্য থেকে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]