একই পঞ্চেন্দ্রিয় একই অঙ্গ নিয়ে
গড়ে ওঠা শিশুগুলোর অশেষ বিভেদ,
ধনীর শিশু চায়না খেতে কিছু
তাইতো ভীষণ ভীষণ মায়ের ক্ষেদ।
ভাতের থালা কিংবা মুখ চাট
সঙ্গে করে নিয়ে শুধু ঘোরা,
খা না বাবা খা না মা বলে শুধু
শিশুর কাছে ঘ্যান ঘ্যান করা।
না জানি কেন ধনীর শিশুর
পায় না খালি খালি খিদে,
মায়ের ঘ্যানঘ্যানানির চাপে পড়ে
শিশু ডুব দেয় বড় জেদে।
কথা না ফোটা একটু বড় হয়েছে কি
ঝুলে গেল পিঠে বইয়ের বোঝা,
স্যুট বুটে স্কুল ভ্যানে চেপে বসা,
ইঁদুর দৌড়ে প্রতিযোগী সাজা।
হতে হবে ফার্স্ট সবখানে
নাচ গান কুস্তি আঁকা সাঁতার,
সবখানে তেই দৌড়াতে হবে
বিরাম যে তার নেই আর।
গরীব শিশুর ভরে না পেট
জোটেনা ভরাপেট খাওয়া,
ঘ্যান ঘ্যান করে চলে শুধু
জোটে মায়ের মার বকা খাওয়া।
তারে মা ফেলে যায় কাজে
ঘোরে সে অনাদরে যেথা সেথা,
স্কুলে জোটে একবার ভাত
বাকি চাহিদা সবই তার বৃথা।
অভাবী শিশুদের কাছে পৃথিবীটা
বড়ো নিষ্ঠুর হাসি হাসে,
অপূর্ন চাহিদার অপুষ্ট শিশুদের
অভাবে স্বভাব তখন নাশে।
১৭/৭/২০২০।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]