মঠবাড়িয়ায় একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৩ জনের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন-ধানিসাফা গ্রামের মৃত. রতনের পুত্র আয়নাল (৩৫), আয়নালের স্ত্রী খুকুমনি (২৫) ও তাদের একমাত্র মেয়ে আশফিয়া (৩)। তারা নিজ এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে ৫/৬ মাস ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
আয়নাল হক ব্রুনাই প্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে অটো রিক্সা (মিশুক) চালাতেন তিনি। অটোগাড়ি রাখার সুবিধার্থে পৈতৃক বাড়ির কাছাকাছি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে জানান আয়নালের বোন দুলিয়া।
আয়নালের ভাতিজি মহিমা শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে ওই ভাড়া বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে স্হানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের পিছনে সিঁধ কাটা রয়েছে।তবে সিঁধেল দিয়ে লোক যাতায়তের কোন চিহ্ন বা প্রমান মেলেনি। স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ পিছনে হাত বাধা অবস্হায় ঝুলানো ছিল। আসবাব পত্র ও বিছানা এলোমেলো। সবারই ধারনা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
সংবাদ পেয়ে পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মো. শেখ জাহিদুল ইসলাম, র্যাব-৮ এর এএসপি মো. মাইদুল ইসলাম, পিরোজপুর সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ, মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন, বরিশাল ক্রাইম সিনের সিআইডি ইন্সপেক্টর মো. মামুন, পিরোজপুর সি আই ডি ইন্সপেক্টর রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর ডিবি ইন্সপেক্টর কেএম মিজানুল হক ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, ধানিসাফা এলাকার একটি বসত ঘরে একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলমান আছে সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]