১৯ আগস্ট আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী।
২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট দিবাগত রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
টিপু সুলতানের জন্ম ১৯৫০ সালের ১৩ ডিসেম্বর, নানা বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়ার জমিদার বাড়ি।
টিপু সুলতান যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে ১৯৬৬ সালে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৯ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যশোর অঞ্চলের নেতৃত্বে ছিলেন খান টিপু সুলতান। সেই বছরই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
ওই বছর গণআন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন এবং ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসে। এর কিছুদিন পর যশোরে মুসলিম লীগ নেতা নূরুল আমিনের আগমনের বিরোধিতার কারণে টিপু সুলতানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে মামলা হয়। বিচারে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বৈঠক হয়। বৈঠকে টিপু সুলতানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে বঙ্গবন্ধু অনুরোধ করলে সেটি প্রত্যাহার হয়।
টিপু সুলতান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যশোরে এসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে দলটির গুরুত্বপূর্ণ নানা দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে গুটিকয়েক মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন টিপু সুলতান।
মরহুম অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের স্মরণে মণিরামপুরস্থ বাড়িতে এক মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]