যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পল্লীতে এক হাতুড়ে প্রাণী চিকিৎসক কর্তৃক একটি গাভীন গরু সিজার করার ঘটনা ঘটেছে। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে গরুটি মারা গেলে সেই গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের দশআনি গ্রামের সিদ্দিক ব্যাপারির বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে- সিদ্দিক ব্যাপারি তার একটি গাভীন গরুর ডেলিভারী হওয়ার সময় হলে পার্শবর্তী খাটুরা রাজারের হাতুড়ে প্রাণী চিকিৎসক মো. শাহাজামালের ডেকে আনে এবং চিকিৎসক নরমালে ডেলিভারীর সামান্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সিজার করেন এবং একটি মরা বাচ্চা বের করেন এবং গরুটির পেট সেলাই করে দেওয়া হয়। এঘটনা উপস্থিত এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ দেখেছেন।
আরও জানা গেছে- গরুটির পেট সেলাইয়ের পরও রক্তবন্ধ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে গরুটি মারা যায়। গরুর মালিক সেই রাতেই মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার্শবর্তী ঝিকরগাছা বাজারের একজন কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেয় এবং মরা বাচ্চাটি লুকিয়ে রাখেন গরুর মালিক সিদ্দিক। এব্যাপারে গরুর মালিক সিদ্দিক ব্যাপারির বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সামনে আসেনি এবং কোনো বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে গাভীন গরুটি সিজার করার ঘটনা স্বীকার করেছেন স্থানীয় খাটুরা বাজারের হাতুড়ে প্রাণী চিকিৎসক মো. শাহাজামাল। তিনি এ ঘটনাটি পত্রিকায় না লিখতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন এবং বলেন- আমি রেজিস্ট্রিভুক্ত না। পত্রিকায় এঘটনা লিখলে আমার সমস্যা হতে পারে। তবে আমি গরুর মালিকের অনুমতি নিয়ে গরুটি সিজার করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার, প্রাণী চিকিৎসক মো. শাহাজামাল কর্তৃক গরুটি সিজার করার ঘটনা স্বীকার করেছেন।
এব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুজার সিদ্দিকী বলেন- গরুর মালিক আমাদের কাছে অভিযোগ না দিলে, আমারদের কিছু করার নেই। এটা প্রশাসনের ব্যাপার।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]