যশোরের মণিরামপুরে গৃবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আরশিল কবির নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি-২০২৩) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২৩) রাতে স্ত্রী নাওয়াদ জামান বরিশার (১৭) মা নওশোভা তানভিন মিঠু বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আরশিল কবিরের বাবা আজমত ফকিরের দাবি, ভাত খাওয়া নিয়ে গত শনিবার রাত ১১টার দিকে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় বরিশার। এরপর অভিমান করে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
আরশিল কবির উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের আজমত ফকিরের ছেল। তার স্ত্রী বরিশা যশোর সদর উপজেলার সাতিয়ানতলা এলাকার কলেজ শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সবুজের মেয়ে।
মামলায় এজাহরে বরিশার মা নওশোভা তানভিন মিঠু উল্লেখ করেন, খালার বাড়ি যাওয়া আসার সূত্রে আরশিল কবিরের সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়। গত বছরের ২২মে আরশিল কবির বরিশাকে ফুসলিয়ে মণিরামপুরে নিয়ে আসেন। তখন মণিরামপুর থানা-পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবার ওই মাসের ১৫ তারিখ আরশিল কবির কলেজ থেকে বরিশাকে নিয়ে আসেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন- মা-বাবা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় আরশিল বিভিন্ন সময় বরিশাকে নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতেন। বরিশা তার ফুফু সুলতানা বন্যাকে মোবাইলফোনে এসব ঘটনা জানাত।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান বলেন- আরশিল কবিরের সঙ্গে চলে আসায় বাবা মাহবুবুর রহমান আর বরিশার খবর রাখেননি। মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনেই তারা রোববার থানায় আসেন। পরে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে থেকে মাহবুবুর রহমান মেয়ে বরিশার লাশ গ্রহণ করেন।
এসআই আতিকুজ্জামান আরও বলেন- স্বজনদের অভিযোগে বরিশাকে নির্যাতন করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে স্বামী। এ অভিযোগে তারা মেয়ের স্বামী আরশিল কবিরকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]