মণিরামপুরে শারমিন খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
শারমিন উপজেলার মধুপুর গ্রামের মাইক্রোবাস চালক রাজু আহমেদের স্ত্রী।
রাজু-শারমিন দম্পতির এক বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
শারমিনের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করেছেন তার শ্বশুর আলী আকবর। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় অপমৃত্যু মামলাও করেছেন।
কিন্তু শারমিনের বাবা একই উপজেলার পদ্মনাথপুর গ্রামের আব্দুস সালাম দাবি করেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শারমিনের শ্বশুর আলী আকবর বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলে রাজু ভাড়া নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে। এরপর আমরা স্বামী-স্ত্রী মধুপুর বাজারে যাই। সেখানে বসে খবর পাই শারমিন ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।’
শারমিনের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তিন-চার মাস ধরে জামাই রাজুর সাথে আমার দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের কারণে তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। সকালে এই ঘটনা ঘটলেও তারা আমাকে খবরটা জানায়নি। পরে এক আত্মীয়র মাধ্যমে বিকেলে আমি বিষয়টি জানতে পারি।’
মণিরামপুর থানার এসআই সাহাবুল আলম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শারমিন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শারমিনের বাবার দাবির প্রসঙ্গে এসআই সাহাবুল বলেন, যে কোনো আত্মহত্যার পেছনে কোনো না কোনো কারণ তো থাকতেই পারে। তবে তার বাবা এই ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। শারমিনের শ্বশুর আলী আকবর বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]