যশোরের মণিরামপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অটোরাইস মিল মালিককে মারপিট করে প্রায় ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৪ এপ্রিল-২০২২) সকালে মণিরামপুর পৌর এলাকার বাঁধাঘাট ব্রীজ সংলগ্ন ব্যাপারী অটোরাইস মিলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মিল শ্রমিকসহ গ্রামবাসিরা যুব-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। সেখানে চাঁদাবাজদের ফেলে রেখে যাওয়া একটি
এ্যাপাচি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মিল শ্রমিক ও কয়েকশ গ্রামবাসী দুই ঘন্টাব্যাপী যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা জনগণ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়- সম্প্রতি চালু হওয়া পৌর এলাকার বাঁধাঘাট এলাকায় ব্যাপারী অটোরাইস মিলে মালিক আবদুস সালামের কাছে ধরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু তিনি দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাালে ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মণিরামপুর পৌর ছাত্র ও যুবলীগের ১০ জনের একটি সশস্ত্র দল ওই মিলে গিয়ে মালিক আবদুস সালামের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ সময় টাকা দিতে না চাইলে মিল মালিক আবদুস সালাম, তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রনি ও জামাই মোস্তফাকে মারপিট করে। এমনকি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। খবর ছড়িয়ে পড়লে মিল শ্রমিক ও কয়েকশ গ্রামবাসী যুবলীগ-ছাত্রলীগের ওই নেতা-কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। কিছুক্ষণ পর থানার এসআই আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেনি এসআই আবদুর রাজ্জাক।
মিল মালিক আবদুস সালাম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন- তার অটোরাইস মিলটি এ বছর চালুর পর থেকেই তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু না দেওয়ায় তাকেসহ তার ছেলে ও জামাইকে মারপিট করে প্রায় ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্র ও যুবলীগের চাঁদাবাজ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় উপস্থিত এসআই আবদুর রাজ্জাককে চাঁদাবাজদের কাছে থাকা পিস্তল দেখিয়ে দিলেও তিনি তাদের ধরেননি বলে অভিযোগ করেন। বরং তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
পালিয়ে যাবার সময় ফেলে রেখে যাওয়া একটি আ্যাপচি মোটরসাইকেল পুলিশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে।
মিল মালিকে ছেলে রনি বলেন- তিনি ৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য যপবিস-২ (যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২)-তে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন- এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]