প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ৯:৪৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২৩, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
মনিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের জেগে থাকা শত শত বিঘা জমিতে ধানের আবাদ
জানাগেছে- বর্ষা মৌসুমে বিগত ২০০০ সাল থেকে ঝাঁপা বাঁওড়ের দুকূল উপচে, বন্যার সৃষ্টি হতো এবং এই পানি বদ্ধ অবস্থায় থাকতো। কৃষকরা ২০০০ সালের আগে ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ে ধানের আবাদ করতো। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বন্যা হয়ে পানি, বাঁওড়ের কানাই কানাই থাকতো। এজন্য কৃষকরা কোনো আবাদ করতে পারতো না। এবছর সেই ঝাঁপা বাঁওড়পাড় এখন কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। বাঁওড়পাড়ের শতাধিক কৃষক শত শত বিঘা জেগে থাকা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন। কৃষকরা এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস এই ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের বাসিন্দারা বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা জমিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধানের আবাদ করেছেন এবং সব থেকে ভালো ধান ফলাবেন এই আশা করছেন কৃষকরাও।
জানাগেছে- বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা জমিতে ধান চাষ করলে খরচ অনেক কম। এখানে সার কম লাগে, সেচের পানির কোনো সমস্যা নেই। খুব সহজে বাঁওড়ের পানি সেচ দেওয়া যায় এবং ফলন বেশি হওয়ায় এখানে আবাদ করতে আগ্রহ বেশি কৃষকদের। তারা জানান- বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা মাটি অত্যন্ত ভালো মাটি। জৈবসার মিশ্রিত। তাই, ধানের ফলন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের কয়েকজন কৃষক এই প্রতিনিধিকে জানান- তারা বহু বছর পর, এবার এই জমিতে ধানের আবাদ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে অনেক খুশি কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছেন- ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। এজন্য কৃষকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আবাদকৃত ধানক্ষেত দেখেছি। আমাদের এবং কৃষকদের উভয়ের আশা এখানে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]
Copyright © 2024 কলারোয়া নিউজ. All rights reserved.