করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে ও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মনিরামপুরের রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাওড়ের উপর নির্মিত দু'টি ভাসমান সেতু।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন এখানে।
যশোরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে রাজগঞ্জের ভাসমান সেতু। এজন্য এলাকায় বাড়তি লোকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বিকেলে ভাসমান সেতুই ভিড় বেশি থাকে।
এই ভাসমান সেতু এলাকায় ও সৃষ্ট পার্কে গড়ে উঠেছে ফুচকা, চটপটিসহ বিভিন্ন দোকানপাট। এসব দোকানপাটে একেবারেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যবসা।
দেখা গেছে ভাসমান সেতু দেখতে আসা লোকজনের অনেকের মুখে মাস্ক নেই, তাদের ব্যবহৃত মাইক্রো, অটো, বাইক, মোটর ভ্যানসহ লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেল চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত যানজট ও ছোট-খাটো দুর্ঘনা ঘটছে রাজগঞ্জ এলাকায়।
কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, করোনা ভাইরাসের আতংক তো রয়েছেই। তারপরে একটু বিনোদনের জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাসমান সেতুই ঘুরতে আসা।
সচেতন মহল মনে করছেন, লোকজনের অবাধ চলাচল ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা, এটা দেশের আইনকে অমান্য করা। এটা কখনো উচিত না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শত শত/ হাজার হাজার লোক এক জায়গায় সমাগত হওয়া বেআইনী। এতে করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]