মনিরামপুরের রাজগঞ্জে গত কয়েক দিনের অতিমাত্রার বৃষ্টিপাত ও করোনার কারণে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কাঁচা তরকারিসহ নাত্যপণ্যের। যা কিনতে যেয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা তরকারি চাহিদার তুলনায় বাজারে অনেক কম। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে যে পরিমাণ কাঁচা তরকারি রাখতে চাচ্ছেন, সে পরিমাণ রাখতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে ভাবে কিনে আনি, সেই ভাবেই আমরা বিক্রি করছি। বেশি দামের পণ্য সামগ্রী কিনতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, চলতি ভাদ্র মাসের অতিমাত্রার বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যা আছে সেটাই কৃষকরা বাজারে তুলছে।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, অতিসামান্য পরিমাণ কাঁচা তরকারি বাজারে আসছে। যে কারণে দাম বেশি। রাজগঞ্জ বাজারে বেগুন ৭০-৮০টাকা, আলু ৩৫ টাকা, কাঁচা কলা ৬০টাকা, পটল ৬০টাকা, কচুরমুখি ৪০টাকা, ডাটা ২০-২৫টাকা, কারকোল ৫০টাকা, উচতে ৬০টাকা, পেঁপে ৩৫টাকা, বরবটি ৬০টাকা, ওল ৪০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, বাঁধা কপি ৬০টাকা, পেঁয়াজ ৪০টাকা, কাঁচাঝাল ২০০টাকা, রসুন ১২০টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, দাম বেড়েছে সয়াবিন তেল, চিনি, মসলাসহ সকল প্রকারের মুদি জিনিসপত্রের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। মাছ বাজারেও মাছের দাম বর্তমানে বেশি। তার উপর খেটে খাওয়া মানুষের নিয়মিত কাজ না থাকায় মহা সংকটে আছে তারা।
সবদিক মিলিয়ে সাধারণ মানুষের হিমশিম খাওয়া অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]