যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছেই চলেছে। কলেরা স্যালাইন সংকটের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রাম্য চিকিৎসকেরা। অনেক রোগী উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানাগেছে- রাজগঞ্জ অঞ্চলে ডায়রিয়া রোগী ব্যাপকহারে বাড়ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের কোনো ওষুধের দোকানে কলেরা স্যালাইন নেই। গ্রাম্য চিকিৎসকেরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকেরা বলছেন- প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী দিন দিন বাড়ছে। বাজারের কোনো ওষুধের দোকানে কলেরা স্যালাইন নেই। এজন্য চিকিৎসা সেবা দিতে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন- কোম্পানী থেকে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ নেই। কলেরা স্যালাইন বাদে অন্য সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে- ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ রোগীরা ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের কয়েকটি ডাক্তারখানায় চিকিৎসা নিতে আসা পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়াসহ পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা জানিয়েছেন- অসুস্থ্য হলেই ওষুধ কিনতে কিনতে জীবনে আর পারছি না। ওষুধের দাম এতো বেশি হলে কিভাবে কিনতে হয়?।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন গ্রাম্য চিকিৎসক জানিয়েছেন- ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ জন রোগী দেখা হচ্ছে। অনেকেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত অবস্থায় আসছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দিচ্ছি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন- রাজগঞ্জ এমন একটি জায়গা, যেখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তার নেই। ভালো মানে হাসপাতাল বা ক্লিনিক কিছুই নেই। জরুরী অবস্থায় রোগীদের নিয়ে উপজেলা বা জেলা সদরে ছুটতে হয়।
স্থানীয় চিকিৎসকেরা বলছেন- প্রচন্ড গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। সময় মতো চিকিৎসা দিলে তিন-চার দিন পরেই ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে এপ্রতিনিধিকে জানিয়েছেন- রাজগঞ্জ অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যেয়ে কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না। সেখানে প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না। তাতে কি রোগ নিরাময় হবে?।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]