ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রং আর অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে সেজে ওঠে ফসলের মাঠ। কখনো সবুজ রঙে ছেয়ে যায় মাঠ, কখনো রুপালি জলে ভরে যায় বিল আবার কখনো সোনালি ধানের শিষে লাগে বাতাসের দোল, আর শীতের শুরুতে দিগন্ত জুড়ে দেখা যায় হলুদ সরিষা ফুল।
সরেজমিনে দেখা যায়- মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা, ষোলখাদা এলাকায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। দেখে মনে হয় যেন হলুদ চাদরের বিছানা। এ সময় ছোট থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও দেখা যায় সরিষা মাঠের ছবি তুলতে।
এ বিষয়ে ষোলখাদা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন- আমাদের ষোলখাদা মাঠে আমন ধান কাটার পরপরই সরিষার আবাদ করে থাকি। এ বছর ষোলখাদা গ্রামের অনেক কৃষক সরিষার আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝাঁপা গ্রামের কৃষক সমশের আলী বলেন- এ বছরে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং ফুলও এসেছে ভালো। প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ করে ফলন পেলেও এ বছর ৬ মণের অধিক সরিষা হবে আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক রমজান আলী বলেন- বোরো ধান লাগানোর আগে খেতে সরিষা লাগানো হয়। সরিষার দাম ভালো থাকায় এ বছর এ এলাকার কৃষকরা কয়েক শ’ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছে। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র বলেন- এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকায় কৃষকও সরিষা চাষে বেশ উৎসাহী। দাম ভালো থাকলে কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হবে। আমরা মাঠে আছি কৃষকের সার্বিক কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]