যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরির ঘটনা। ফলে মানুষের মাঝে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ অঞ্চলের রোহিতা, খেদাপাড়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, চালুয়াহাটি ও মশ্বিমনগর এই ৬টি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রতিদিন ঘটছে চুরির ঘটনা। চোরেরা বাসা-বাড়িতে ঢুকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, সোনার গহনা, টাকা, মোবাইল ফোল, পানি তোলার মোটর, বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, বাড়ির গৃহস্থলির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র, মাঠ থেকে বৈদ্যতিক ট্রান্সফরমার, সেচ মোটর, স্যালোমেশিন চুরি করছে। ফলে চোর চোর আতঙ্কে রাত-দিন কাটাচ্ছেন রাজগঞ্জবাসি।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজগঞ্জের কোমলপুর বাজারের মসজিদের ওয়াজ মাহফিলের মাঠ থেকে একদিনে চারটি বাইসাইকেল চুরি হয়েছে। সম্প্রতি রাজগঞ্জ বাজারের একটি ফ্লাট বাড়ির ভেনটিলেটারের ফাট দিয়ে ঢুকে সোনার গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে। এইভাবে রাজগঞ্জ অঞ্চলে প্রতিদিন কোনো না কোনো বাড়িতে, বাজার থেকে বা মাঠ থেকে চোরেরা মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন- বর্তমানে চোরের উৎপাত অনেক বেড়েছে। মানুষ তাদের মালামাল কোথাও রেখে নিরাপদে থাকতে পারছে না। চুরি হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছে। তিনি আরও বলেন- এখন চুরির ঘটনা বেশি শোনা যাচ্ছে। আজ থেকে এক বছর আগেও এতো চুরির ঘটনা ঘটেনি বা শোনা যায়নি।
হানুয়ার ও কোমলপুর এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন- এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা, আমাদের মালামাল, গরু, ছাগল বা মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চিন্তাই আছি। প্রত্যেক রাতে ১২টা, ১টা পর্যন্ত জেগে থাকি। এভাবেই নিজেদের সম্পদ নিজেরাই দেখা-শোনা করে রাখছি। চোরেরা এর মধ্যে থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]