যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি বেশি উঠছে। সেই তুলনায় দাম অনেকটা কমেছে। প্রথম দিকে দাম কিছুটা বেশি হলেও এখন সবজির সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমতে শুরু করেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছে- শীত যতো বাড়বে, সবজির সরবরাহও ততো বাড়বে, আর কমবে দামও।
রাজগঞ্জ খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে- ফুলকপি প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা কেজি, লাউ প্রতিপিস ছিল ২০-৩০ টাকা, মূলা দেড় কেজি ১০ টাকা, পালং শাক দুই তাড়ি ১৫ টাকা, ১০ টাকাইও পাওয়া যায়। এছাড়া সব ধরণের সবজির দাম কম হয়েছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা প্যাকেট ভরে সবজি কিনছে এমনটা দেখাগেছে।
বাজারে নতুন আলু উঠেছে। প্রতিকেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। এ ছাড়া নতুন পিঁয়াজ ৩০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম বেড়েছে রসুনের। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। রাজগঞ্জ পাইকারি সবজি বাজার ঘুরে দেখাগেছে- খুচরা বাজারের থেকে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালিন সবজি। কৃষকরা পাইকারদের কাছে অত্যন্ত কম দামেই সবজি বিক্রি করছে।
রাজগঞ্জের শাহপুর গ্রামের সবজি চাষি রহমত মিয়া (৬৫)। তিনি রাজগঞ্জ বাজারে এসেছেন বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি ও লাউ বিক্রি করতে। বিক্রি শেষে রহমত মিয়া বলেন- দাম যা পাইছি? তাতে কোনো দুঃখ নেই। সবজির দাম আরও কমবে বলে জানান এই সবজি চাষি।
মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ অঞ্চলের প্রায় ৩০ ভাগ জমিতে সবজি চাষ হয়। এই সবজিগুলো প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাট বারের দিন রাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি হাটে বিক্রি করা হয়।
জানাগেছে- চলতি মওসুমে রাজগঞ্জ অঞ্চলে কৃষকরা শীতকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লালশাক, পালং শাক, মূলা, বরবটি, গাজর, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা ইত্যাদি আবাদ করেছে।
স্থানীয় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র বলেন- এ বছর রাজগঞ্জ অঞ্চলে শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে কৃষকরা সবজির দাম ভালো পেয়েছে। এখন দাম কমে যায়ায় ক্রেতারা প্যাকেট ভরে কিনতে পারছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]