হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিণা খালের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা বোরো ধানখেত প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে ঘেরে পানি ঢুকে অন্তত ১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান- শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ হরিণা খালের ২০-২৫ হাত পাড় ভেঙে খেতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এলাকাবাসী মাইকিং করে নিজেদের উদ্যোগে দিনভর চেষ্টা করেও পানি আটকাতে ব্যর্থ হন। এতে বিলের প্রায় ১ হাজার ২০০ বিঘা জমির বোরো আবাদ পানির নিচে তলিয়ে যায়। দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দীপক কুমার বলেন- হরিণা খালে বিশাল আয়তনের দুটি মাছের ঘের রয়েছে। ঘের দুটির মধ্যে হরিণা খালের অবস্থান।
ঘেরমালিকের সঙ্গে কৃষকদের চুক্তি অনুযায়ী বোরো মৌসুমে সেখানে ধান চাষের জন্য পানি সেচে খালে ফেলা হয়। খালটি কেশবপুর উপজেলার গাইয়েখালি গেট হয়ে নদীর সঙ্গে মিশেছে। এবার একটি ঘেরের পানি সেচে জমির মালিকেরা সেখানে বোরো আবাদ করেন। আর ভেতরে ছোট আরেকটি ঘের কেটে সেখানে মাছ রাখেন ঘেরমালিক বিমল। কিন্তু সেচে ফেলা পানি গাইয়েখালি গেট দিয়ে না সরায় হরিণা খালটি টইটম্বুর হয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান- শনিবার ভোরে হঠাৎ হরিণা খালের পাড় ভেঙে বিমলের ঘেরের মধ্যে ১ হাজার ২০০ বিঘা বোরো আবাদে পানি ঢুকে পড়ে। সকালে এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পানির স্রোত বেশি হওয়ায় দিনভর চেষ্টা করেও বাঁধ দেওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্য দীপক বলেন- বোরো আবাদ এখন কোমরপানিতে তলিয়ে রয়েছে। এলাকার সবাই চিন্তিত। বিমলের মাছ যে ছোট ঘেরে রাখা ছিল, সেটাও ডুবে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাজহারুল পলাতক থাকায় পরিষদে প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান। তিনি বলেন- বাঁধ ভেঙে বোরো আবাদ তলিয়ে যাওয়ার খবর জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন- বাঁধ ভেঙে বোরো আবাদ তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ওইদিন সকালে শুনেছিলাম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]