যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে মাছের ঘেরের আইল বা বান্দাল কেটে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ভাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল আজিজ।
মোঃ আব্দুল আজিজ উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের (রাজগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের সামনের) বাসিন্দা।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আব্দুল আজিজ জানান- রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মাষ্টারপাড়ার পিছনে মোবারকপুর মৌজায় আমার ক্রয়কৃত ৮০ শতকসহ এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাজ থেকে প্রায় ১০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে মাছ চাষ করে আসছি। আমার মাছের ঘের দেখে গাত্রদাহ শুরু হয় আমারই ভাই মোশারফ হোসেন মোশা, তার স্ত্রী শেফালী বেগম, মেয়ে শাবানা ও ছেলে আশরাফুল ইসলাম হজুসহ তার পরিবারের। পূর্বশত্রুতার জেরধরে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার জন্য তারা আমার মাছের ঘেরের পাশে ছোট একটি ঘের নির্মাণ করে।
মাছের ঘের নির্মাণ করার পর থেকে আমার ভাই ও তার পরিবার আমার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। এতেও সুবিধা করতে না পেরে তারা রাতের অন্ধকারে আমার মাছের ঘের থেকে মাছ লুট করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমার ভাইসহ তার পরিবারের সকল সদস্যরা আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সম্প্রতি তারা কয়েকদফায় এক ট্রাক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ্য টাকা।
আব্দুল আজিজ জানান- আমি একজন অসহায় মানুষ। পরের জমি বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করি। এই মাছের ঘের থেকে যা আয়-রোজগার হয় তাই দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। অথচ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মোশারফ হোসেন মোশা ও তার পরিবার জোরপূর্বক আমার মাছের ঘেরের আইল বা বান্দাল কেটে মাছ লুটের চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায় বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে বাধা দিলে মোশা তার স্ত্রী শেফালী, মেয়ে শাবানা, ছেলে আশরাফুল ইসলাম হজু রাম দা, বাঁশের লাঠি, কুড়াল ও কাচি নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে ধাওয়া করে। আমি প্রান বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করি। এরপর স্থানীয় পুলিশকে সাথে নিয়ে আমি আমার মাছের ঘেরে যাই এবং দেখি আমার মাছের ঘেরের আইল বা বান্দাল মোশা ও তার পরিবার কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এতে আমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
আমি একজন অসহায় মাছ চাষি। বর্তমানে মোশা ও তার পরিবারের ভয়ে আমি, আমার মাছের ঘেরে যেতে পারছি না। পাশাপাশি মাছের ঘেরসহ ঘেরের চারপাশের বাঁধে কোনো প্রকার ফসল ফলাতেও পারছি না। যে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কথার বাস্তবায়ন করতে পারছিনা।
ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ আরো জানান- আমি উপরোক্ত বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]