যশোর জেলার পশ্চিম মণিরামপুরের রাজগঞ্জে মাঠে মাঠে বসন্তের হাওয়ায় দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন, সোনালী ফসল ইরি-বোরো ধান। চলতি মওসুমের ইরি-বোরো রোপণ এখন প্রায় শেষ। এখন জমিতে চলছে সার, কীটনাশক প্রয়োগ আর নিড়ানী ও পরিচর্যার কাজ। ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে রাজগঞ্জ অঞ্চলে। দামও পেয়েছে ভালো। এজন্য কৃষক ইরি-বোরো ধান চাষ করেছে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি।
কয়েক জন কৃষক জানিয়েছেন- প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবং বাজারে ধানের ন্যয্য মূল্য পেলে অধিক লাভের আশা করছি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- এবার উপজেলায় মোট ২৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান (৫৫), রামপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৫০), কাঁঠালতলা গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৬৫), হানুয়ার গ্রামের আহম্মদ আলী (৬০), খালিয়া গ্রামের মোবারক আলী (৫৫), হানুয়ার গ্রামের সোহাগ হোসেন (৩৫) ও ইউনুস গাজী (৩২) এ প্রতিনিধিকে জানান- ধান রোপন কাজ শেষ করেছি এক মাস মতো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি বিঘা চাষকৃত ধানি জমিতে ধানের চারা রোপনের জন্য জমি তৈরি, রোপন, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক দিয়ে মোট খরচ হয়ে গেছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। এখনো খরচ হবে। এতো খরচের পর ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুটোই সার্থক হবে।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন (৬০) জানায়- এবার জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছি, বৈরি আবহাওয়া, পোকামাকড় ও ইঁদুরের আক্রমন না হলে ধানের অধিক ফলনে আশাবাদী।
ঝাঁপা ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি অফিসার ভগীরত চন্দ্র জানান- রাজগঞ্জ অঞ্চলে ইরি-রোরো ধানের চারা রোপন প্রায় শেষ হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা না দিলে এবার এ অঞ্চলে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]