মসজিদুল আকসা মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা এবং পবিত্র স্থান। রাসূল (সা.) কাবা শরীফ, মসজিদে নববী ও বায়তুল মোকাদ্দাস, মসজিদের উদ্দেশ্যে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা অন্য কোন মসজিদ সম্পর্কে করেননি।
মসজিদুল আকসা এর ভিত্তি স্থাপন করেন হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। কাবা শরীফ প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পর এটা নির্মাণ করা হয়। উভয়েরএর মধ্যে দূরত্ব-১৪৮৫.৩৫ কিলোমিটার। পরবর্তীকালে অনেক পয়গম্বরগণ এর সংস্কার ও পরিবর্ধন করেন।
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে এক রাত্রিতে মক্কা মুআজ্জামা থেকে সজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে যান। এরপর ৭ আসমান ভেদ করে তাঁর নৈকট্য নিয়ে যান। মক্কা শরীফ থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে 'ইসরা" এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্বে গমন কে মি'রাজ বলা হয়।
`পবিত্র তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীযোগে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত।' (সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত: ১।)
এই মসজিদুল আকসায় অধিকার শুধুমাত্র মুসলিম জাতির, অন্য কারো নয়। কিন্তু ইসরাইল এটাকে দখল করার জন্য অসংখ্য মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। মজলুম মানবতার এ নির্মম হত্যা মানুষ হিসেবে মানা যায় না।
খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালের দিকে সুলাইমান (আ.) এই স্থানটির স্থাপত্য তৈরি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন।
ব্রিটিশরা ইউরোপ থেকে মার খাওয়া ইহুদিদের জায়গা বরাদ্দ করে দিল ফিলিস্তিনে। থিউডরের স্বপ্নের সেই দেশ প্রতিষ্ঠিত হলো ফিলিস্তিনিদের রক্তের উপর। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্ত হলো। ঘর বাড়ি এবং জীবন হারালো। তারা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করত, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে সেই ভূমি দখল করত। ধারাবাহিক হত্যার জঘন্যতম অপরাধ আরো ভয়ঙ্কর হয়েছে। বিশ্ব মুসলিম নেতাদের উপর দায়িত্ব এ পবিত্র স্থান রক্ষা করা এবং রক্তের বন্যা বন্ধের ব্যবস্থা করা।
মহান আল্লাহ ফিলিস্তিনের মুসলমানসহ সকল মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। আমীন।
লেখক:
মাওলানা জিয়াউল ইসলাম যুক্তিবাদী,
ইসলামী বক্তা, লেখক, গবেষক ও চিন্তাবিদ,
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]