সময় যত গড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের মৃত্যু হলো।বিস্ফোরনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পাঁচ তলার বিশেষ ওয়ার্ডে যখন আহতদের চিকিৎসা চলছে তখন নিচতলায় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে গোটা পরিবেশ।
আহতদের সবোর্চ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। ঘটনা তদন্তে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন চিকিৎসাধীন রোগীদের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, দগ্ধদের শরীরের ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কাজেই দগ্ধ হবার পরিমান কম হলেও, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়াটা গুরুতর। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’
এ ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও। রোববার রাতে মারা যান মসজিদের ইমাম।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত এক শিশুসহ ১০ জনের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
আহতদের দেখতে এসে সচিব আবদুল মান্নান জানান, আহতদের সবোর্চ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ডাক্তারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যতখানি চিকিৎসা দেয়া দরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের থাকবে।’
ঘটনা তদন্তে কমিটি ঘোষণার কথা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার। তারা জানান, তদন্তে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তাদের দাফনের জন্য প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দিব। এছাড়া আহতদেরও সহায়তা করা হবে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের কাজ শুরু হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, ‘এ ধরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে, সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা খুব দ্রুত খুঁজে বের করা হবে।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]