জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভাতা কার্ড অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য ‘খরচ’ বাবদ ৮৮০ জন হতদরিদ্রের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছিলেন রিগান হোসেন নামে এক ব্যক্তি। রিগানের চাচাতো ভাই আয়মা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন। অথচ হতদরিদ্র ভাতা কার্ড বিনামূল্যে নিবন্ধন করাটাই নিয়ম।
মাইকে ধাপ্পা দিয়ে ‘খরচ’ নেওয়ার ঘটনা চাউর হয়ে গেলে এবং ইউপি সদস্যরা চাপ সৃষ্টি করলে রিগান সবার টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) তিনি মাইকে ডেকে ডেকে জনে জনে ওই টাকা ফেরত দেন। শুধু তা-ই নয়, প্রত্যেক কার্ডধারীকে যাতায়াত ভাড়া হিসেবে আরও ২০ টাকা দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রিগান পরিষদে এসে কাজকাম করে। তবে সে পরিষদের কেউ না। এ ঘটনায় রিগান একাই না, পরিষদের দুজন উদ্যোক্তা শামিমা আক্তার ও শ্যামল সরকারও জড়িত।’
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]