পৌষের হিমে হাড়কাঁপুনির পর মাঘের শুরুতেও কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ; অনেক এলাকায় চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকার আভাস মিলেছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের এক তৃতীয়াংশ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এ দিন মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
মাঘের শুরুতে এমন শীতের দাপট স্বাভাবিক বর্ণনা করে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এখন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দু-তিন থাকবে; তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার শঙ্কা কম।
সোমবার-মঙ্গলবারের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। জানুয়ারি মাসে এমন শীত স্বাভাবিক, চলতি মাসের বাকি সময়েও শীতের দাপট থাকতে পারে।
শনিবারের (২১ জানুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়, বর্তমানে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সেইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
কুয়াশার আভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এবার শীত-কুয়াশার দাপট বাড়ে উত্তরাঞ্চলে। মাঝে কয়েকদিনের জন্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়। পৌষ মাসের শেষে এসে ফের শীতের দাপট বাড়ে।
জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা বলা হয়, যার মধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
টানা কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার দাপটে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]