ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা, সে যে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।’ সত্যিই, এত সুন্দর মাটি, জলবায়ু ও পরিবেশ পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দেশের মাটি, খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি। কোনো বীজ যদি এ মাটির সংস্পর্শে আসতে পারে তা থেকে কম বেশি ফলন পাওয়া যাবেই। প্রয়োজনমতো পরিচর্যা ও ফসলের জাত যদি ভালো হয় তাহলে তো কথাই নেই। তবে গ্রাম অঞ্চলে মাটির অভাব না থাকলেও শহর অঞ্চলে অনেকটা নাই বললেও চলে।
শহর অঞ্চলের গাছপ্রেমীরা গাছ লাগানোর জন্য নার্সারি থেকে তাদের মাটি কিনতে হয়, তাও চড়া দামে। মাটির দাম প্রতি বস্তা ১২০ টাকা। সেই বস্তায় সর্বোচ্চ ৪০ কেজি মাটি থাকে। অর্থাৎ কেজি হিসেবে দেখলে প্রতি কেজির দাম পড়ছে তিন টাকা। তাতে যদি সামান্য গোবর অথবা সার মেশানো থাকে তার জন্যও গুনতে হবে এক-দুই টাকা।
রফিক রাজ নামে এক গাছপ্রেমী বলেন, ‘হলের রুমে দু-একটা ক্যাকটাসের গাছ রাখব ভেবে এখানে কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু গাছ লাগানোর জন্য মাটির আলাদা দাম দিতে হচ্ছে। টাকা দিয়ে মাটি কিনতে হবে ভেবে খুবই অবাক লাগছে। একটি ছোট টবে দুই মুঠো মাটি ভরে দিয়ে আলাদা ২০ টাকা নিচ্ছে।’
বিক্রেতারা বলছেন, রাজধানীতে মাটি সংগ্রহের কোনো উপায় নেই। বেশ চড়া দামে তারাও কিনছেন রাজধানীর বাইরে থেকে। এর মধ্যে সাভারের মাটি দোঁ-আশ বলে সবচেয়ে বেশি আসে সেখান থেকে।
জানা গেছে, ছোট্ট এক পিকআপে সর্বোচ্চ ৪০ বস্তা মাটি থাকে। যার দাম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। বড় এক ট্রাকে প্রায় একশ বস্তা মাটি নেয়া যায়। তার জন্য গুনতে হবে এলাকাভেদে ছয় থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। ঢাকার এসব দোকানে প্রতিদিন মাটির কাটতিও কিন্তু কম নয়। অভিজাত এলাকায় আরও বেশি। উত্তরার গ্রিন ইউনিভার্স নার্সারি প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার টাকার শুধু মাটি বিক্রি করে।
নার্সারির মালিক হাসান জানান, তিনি অনলাইনেও মাটি বিক্রি করছেন দেড়-দুই বছর ধরে। নার্সারির ফেসবুক পেজের অর্ডারের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে সাপ্লাই দেয় তার প্রতিষ্ঠান। তার জন্য ডেলিভারির আলাদা চার্জ দিতে হয় ক্রেতাকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]