যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী বেলতলা বাজারের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী আব্দুল গনির তৃতীয় স্ত্রী নারী মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান বেগমের দ্বারা বাগআঁচড়া প্রেস ক্লাবের দুইজন সাংবাদিক'সহ ৩ জনের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরর ঘটনা ঘটেছে। আর সেই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার ভাড়াটি সাক্ষী হয়েছেন বাগুড়ী বেলতলা বাজারের আর এক আলোচিত প্রতারক তুহিন হোসেন।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তুহিন টাকার বিনিময়ে সব কিছু করতে পারে। তার নামে এলাকায় একাধিক পরিবারের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সে কারো পাওনা টাকা দেয় না, উল্টো পাওনা টাকা চাইতে গেলে মাস্তান দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো সহ ঠিক মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহানের মতো মামলা দিয়ে হয়রানি করে, যাতে পাওনা'দাররা সহজে টাকা না নিতে পারে।
আরো জানা গেছে, পূর্বে এই প্রতারক তুহিনের নামে একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ১৪ টি পরিবারের কাছ থেকে ১৭ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সচিত্রে খবর প্রকাশিত হয়। যার কারণে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাক্ষী হয়েছেন এই অর্থ আত্মসাৎকারী ও প্রতারক তুহিন।
উল্লেখ্য, গত (১৫ মে) সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম মাদক (গাঁজা) বিক্রির অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নারী মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহানের স্বামী বেলতলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামি আব্দুল গনিকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কারাদণ্ড প্রদানের ওই তথ্য সংগ্রহ করে সাংবাদিক মোঃ সোহাগ আলী সংবাদ প্রকাশ করলে তার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মাদক কারবারির স্ত্রী নুরজাহান বেগম, হাফিজুল, ও সুমন তিনজনে মিলে গত (২০ মে) রাত দশটার সময় হামলা করে। এবং তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
ওই ঘটনায় সাংবাদিক মোঃ সোহাগ আলী (২১মে) দুপুরে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেলে, পুলিশ হামলা কারিগরদের মধ্যে অন্যতম নারী মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান বেগমকে রাতেই আটক করে পরের দিন সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করেন।
পরে নুরজাহান আদালত থেকে জামিনে এসে ঘটনার পাঁচ দিন পর (২৫ মে) যশোর আমলী আদালতে সাংবাদিক সোহাগ আলী, ও সাংবাদিক শাহারুল ইসলাম রাজ, এবং রিদয় হোসেনসহ ৩ জনের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। যেটি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের কাছে তদন্ত ধীন রয়েছে, যার মামলার নাং সি আর ২০৪/২৩।
এ ব্যাপারে সাক্ষী তুহিনের সাথে যোগাযোগ করলে উল্টো সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, সাক্ষী হয়েছি তাই কি হয়েছে, তুই কি করার ক্ষমতা রাখিস, তাই কর।
এদিকে শার্শায় কর্মরত দুইজন সাংবাদিক'সহ ৩ জনের নামে মাদক ব্যবসায়ীর দ্বারা মিথ্যা মামল দায়েরের ঘটনায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়েছেন বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ শার্শার সাংবাদিক সমাজ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]