সাতক্ষীরার জন্মান্ধ বংশীবাদক বশির আহমেদ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কলারোয়া নিউজের প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার জীবনের করুন কাহিনী।
সাতক্ষীরা সদর থানার কুশাখালী গ্রামের মৃত আফছার আলী গাজির পুত্র বশির আহমেদ (৩৭)।
চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জন্ম থেকে অন্ধ এই বশির আহমেদ। শৈশব ও কিশোর বয়স কোন রকম পার করলেও যৌবন বয়সে গরীব ঘরের সন্তান জীবন জীবিকার তাগিদে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে।কি করবেন তিনি একজন অন্ধ হয়ে, এরিমধ্যে নিজ উদ্যোগে রপ্ত করে ফেলেছেন বাঁশি বাজানো। ভিক্ষা বৃত্তি পেশায় না নেমে বাঁশি কে পুঁজি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বাঁশি বাজিয়ে মানুষের মন জয় করে,যা উপার্জন হতো তা দিয়ে গরিবনা মতে চলেয যেত তাদের সংসার।এ ছাড়া তার বাঁশি বাজানো শুনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত, সেখান থেকেও কিছু আর্থিক সহায়তা পাওয়া যেত, ইতিমধ্যে তার সংসার আলো করে দুই কন্যা ওএক পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে,বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে,বিশ্ব ব্যাপী চলে আসলো মহামারী করোনা ভাইরাস। উপার্জন পথ গেল বন্ধ হয়ে। কখনো আধাপেটা কখনো না খেয়ে চলছে এই গরীবের সংসার,অত্যান্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কথা গুলো বলছিলেন বশির আহমেদ।
এরই মধ্যে যুক্ত হন, বশিরের স্ত্রী হাসিনা বেগম, তিনি বলেন বড় মেয়ের বয়স (১১) ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে, ছোট মেয়ের বয়স (৭) বছর শিশু শ্রেনীতে পড়ছে, ছেলেটির বয়স সাত মাস।
ছেলে, মেয়ে ও স্বামী স্ত্রী মিলে পাঁচ জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে জন্মান্ধ বংশীবাদক বশির আহমেদ।
এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবান সহ মানবিক জেলা প্রশাসকের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন, অসহায় পরিবার টি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]