ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম। মানুষের জন্য যা মঙ্গলকর ও কল্যাণকর তা ইসলামের বিধান। ইসলাম মানুষদেরকে নিরানন্দ হতে, কঠোর হতে, নির্দেশ দেয় না। বরং ইসলাম মানুষকে মানবীয় প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আনন্দ উৎসব করতে নির্দেশ দেয়। ইসলাম শুধুমাত্র দৈহিক বা জৈবিক আনন্দ ফুর্তির উৎসাহ না দিয়ে মানুষের প্রকৃতির সাথে মিল রেখে দৈহিক-জৈবিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিক আনন্দের সমন্বয় কে উৎসাহ দেয়।
ইসলামের 'ঈদের 'আনন্দকে মানবতা, আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিকতার সাথে সমন্বিত করেছে। একমাস 'সিয়াম' পালনের পরে 'ঈদের দিবস' নির্ধারণ করেছে। ঈদের আনন্দ উৎসবের শুরুতে আল্লাহর কাছে সালাত আদায় ও দোয়ার ব্যবস্থা করেছে।
ঈদের মাঠে হেঁটে যাওয়া সুন্নাত ও উত্তম। এছাড়া এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নাত। কারণ এতে সকলের সাথে দেখা সাক্ষাত হয়, ভ্রাতৃত্ব সাম্য ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়। ঈদের পরে শুভেচ্ছা বিনিময় ইসলামী আদব।
যাকাত ও ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের গরীবদেরকে সহ পুরো সমাজকে ঈদের আনন্দে শরীক করার ব্যবস্থা করেছে।
পাশাপাশি ঈদে সামাজিক শুভেচ্ছা বিনিময়, বেড়ানো, খেলাধুলা, হাসি-আনন্দ ইত্যাদি বিনোদনের উৎসাহ প্রদান করেছে।
ঈদের পরে শুভেচ্ছা ইসলামী আদব।
জুবাইর ইবনু নুফাইর বলেন: ‘রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাহাবীগণ ঈদের দিনে একে অপরকে বলতেন: তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম : আল্লাহ আমাদের এবং আপনার আমল কবুল করুন।’ (ইবনু হাজার আসকালানী, ফাতুহুল বারী'' ২/৪৪৬।)
আমরা সাধারণত 'ঈদ মোবারক' ইত্যাদি বলি। এগুলিও ভালো। তবে সাহাবীদের বাক্যগুলি ব্যবহার করাই উত্তম। মহান আল্লাহ আমাদের সকলের জীবনের প্রতিটি দিনকে ঈদের দিনের মতোই আনন্দময়, পূন্যময় ও ভালবাসাময় করে দিন।আমীন।
লেখক:
মাওলানা জিয়াউল ইসলাম যুক্তিবাদী
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]