প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, মামলার জট আমাদের চিন্তিত করেছে। বিচার প্রার্থীরা যদি দীর্ঘ দিনেও বিচার না পায়, তাহলে একসময় তারা আদালতের প্রতি বিশ্বাস হারাতে পারে। মামলা থাকবে কিন্তু যাতে জট না হয়- যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন ও ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বুধবার বিকালে টাঙ্গাইল এসে পৌঁছলে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
তিনি বলেন, ২০২২ সাল থেকে আমাদের বিচারকরা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, পুরোনো বা বর্তমান মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। এ কারণে বর্তমানে যতগুলো মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা একটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবো। তিনি আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী এবং বিচার প্রার্থীদের আদালতের কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এসময় টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. মাহাবুবুর রহমান, টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. রাফিজুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহনের পর দেশের ৬৪ জেলার আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন হলে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গনে এসে স্বস্তিতে বিশ্রাম নিতে পারবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]