সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, মামলায় না জড়িয়ে একে অপরের মধ্যকার বিরোধ আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা উত্তম। এতে করে সমাজে শান্তি অটুট থাকে। আর সরকারী ভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির কাজটি করে থাকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে শতাধীক বিচারপ্রার্থী মানুষের আবেদনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে লিগ্যাল এইড অফিস।
রবিবার বিকাল ৪টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মফিজুর রহমান আরও বলেন, দেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য বিচারক মাত্র ১৬ শ’ জন। তিনি বলেন, বিকল্প পদ্ধতিতে মিমাংসার মাধ্যমে আমাদের মামলার জট কমাতে হবে। সরকার একটা কল্যাণকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন-এজন্য লিগ্যাল এইডকে এগিয়ে নিতে হবে, কারণ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হল সমাজের সকল মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, জিপি এড. শম্ভু নাথ সিংহ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পিপি এড. তপন কুমার দাস, জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান, এনজিও নবলোক এর প্রতিনিধি ফাহমিদা সুলতানা, আব্দুল গফুর, উত্তরনের পক্ষে এড. মনিরুদ্দীন প্রমূখ।
সভার পরিচালক জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সালমা আক্তার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলতি নভেম্বর মাসে লিগ্যাল এইড অফিসে বিচরপ্রার্থীদের নিকট হতে মোট ১১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। তিনি আরও জানান, মামলা দায়ের হয়েছে ৫৮টি, আপোষ-মিমাংসার জন্য আবেদন এসেছে ৫৯টি যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৫টি। এছাড়া বিভিন্ন আইনগত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৭১ জনকে এবং আইনজীবীগণের ফি প্রদান করা হয়েছে ২৩ হাজার ২শ’ টাকা।
সূত্রে. পত্রদূত।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]