পাকিস্তানের লাহোরের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব। সেটি বিবেচনা করেই টস জিতে ব্যাটিং নিতে ভাবেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব। তাতে আফগানিস্তানের সামনে ৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা।
ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এ বছরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪৯ ও ৩৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি অবশ্য সর্বোচ্চ রান। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে ৩০৬ রান করেছিল টাইগাররা।
এশিয়া কাপে বাঁচামরার লড়াইয়ে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরু পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৭ ওভার ৫ বলেই পূরণ হয় দলীয় অর্ধশতক। প্রথম পাওয়ার প্লের একেবারে শেষ বলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ৩২ বলে ২৮ রান করা মোহাম্মদ নাইমকে বোল্ড করেন স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে তিনে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। পরের ওভারেই গুলবাদিন নাইবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোনো রান করার আগেই। এরপরই জুটি বাঁধেন শান্ত ও মেহেদী। ২৫৭ রানের মাথায় ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ। ততক্ষণে ১৯৪ রানের জুটি গড়া হয়ে গেছে দুজনের। এশিয়া কাপে জুটিতে সর্বোচ্চ রান এটিই। এর আগে ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকী।
উইকেটে বাঁহাতি শান্ত আছেন, সেই বিবেচনায় পরের ব্যাটার হিসেবে নামেন মুশফিক। এর পরপরই সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। একই ইনিংসে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি করার এটি মাত্র পঞ্চম ঘটনা। ১০১ বলে ৯ চার ও ২টি ছক্কায় সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত (১০৪)। ভারসাম্য হারিয়ে দলীয় ২৭৮ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ঝোড়ো গতিতে ব্যাটিং শুরু করা মুশফিককেও শান্তর মতো ভাগ্য বরণ করেন। সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ফেরেন ১৫ বলে ২৫ রান করে। দলীয় ২৯৪ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর ৩২৪ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তিনিও রান আউটের শিকার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। সাকিব ১৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এশিয়া কাপে এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ফলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। জয় পেলে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যে গ্রুপ ‘বি’র শেষ ম্যাচে। সেই ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার ফোর খেলবে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান জিতলে প্রত্যেক দলের একটি করে জয় হবে। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে সুপার ওভারের দিকে।
এদিন তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। একাদশে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]